আগামী ২৯শে জুলাই
ভৈরবে আমাদের ৮ম গাছ উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছি ।
আপনিও আসুন আমাদের গাছ উৎসবে আপনাদের
বয়সের সমান সংখ্যক গাছ নিয়ে।
ভৈরব কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ভৈরব উপজেলার উত্তরে কুলিয়ারচর উপজেলা, পশ্চিমে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলা এবং পুর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।
মুক্তাগাছার জমিদার ভৈরব রায় তার জমিদারী সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এই এলাকায় মানব বসতি গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে জমিদারের নামানুসারেই এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয় ভৈরব বাজার। আবার এই রকম মতও আছে যে ভৈরব মানে ভয়ংকর সেই জন্য এই নামকরণ করা হয়েছে।পার্শ্ববর্তি গ্রামগুলোর নাম দেয়া হয় তাঁর ভাই-বোনদের নামানুসারে ভৈরবপুর,শম্ভূপুর, জগন্নাথপুর, চণ্ডিবের, শিবপুর, কালীপুর,কালিকাপ্রসাদ ও লক্ষীপুর। ভৈরবের আদি নাম ছিল উলুকান্দি।
রাজা ৬ষ্ট জর্জ সেতু ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু |
সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথে ত্রিমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে ভৈরবে। ভৈরব দেশের বিভিন্ন জেলার প্রবেশদ্বার হওয়ায় ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত।
১৯৩৫-১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে মেঘনা নদীর উপর King George the Sixth Bridge বা ‘রাজা ৬ষ্ট জর্জ সেতু’(ভৈরব রেল সেতু) নির্মিত হয়। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হয় ভারতীয় মুদ্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা। এ বছরই ডিসেম্বর, ১৯৩৭ সেতুটির উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে।
আসাম বেংগল রেলওয়ে এই পুলের উপর দিয়ে প্রথম মালগাড়ী চলাচল শুরু করে ১৯৩৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর এবং তা উদ্ধোধন করেন বাংলার প্রধানমন্ত্রী শের-এ-বাংলা এ,কে ফজলুল হক। ঐ বছরই ৬ ডিসেম্বর থেকে সেতুটির উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
ব্রিটিশ আমল থেকে ভৈরব ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। ভৈরবকে তাই অনেক সময় ভৈরব বাজার বলেও অভিহিত করা হয়।
দেশের কয়েকটি পাইকারি কয়লা বিক্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ভৈরব একটি। ভারতের মেঘালয় থেকে সুনামগঞ্জের তাহেরপুরের টেকেরঘাট হয়ে নদীপথে ভৈরবে কয়লা আমদানি করা হয়।
ভৈরবে উৎপাদিত জুতা সারা দেশে এখন বেশ জনপ্রিয়। জুতা উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরান ঢাকার পরই ভৈরবের অবস্থান।
বন্দরনগরী ভৈরবের রাতের মাছের আড়ত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মাছের আড়ত হিসেবে পরিচিত।
No comments:
Post a Comment