সৃষ্টিলগ্ন
থেকেই দেশে এবং দেশের বাইরে “ইত্যাদি” অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান। যদিও
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সময় লেখা থাকে এটি একটি “বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান” কিন্তু এখানে
শিক্ষনীয় ও সচেতনতামূলক অনেক বিষয় থাকে সবসময়, অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়
সেগুলি। যেমন ধরা যাক “আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে পর্ব”। এখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের
নির্বাচনে যে প্রশ্নগুলি করা হয় তাতে অনেক কিছু জানা যায়। এরপর তাদের নিয়ে যে
পর্বটুকু থাকে সেখানেও ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটা ব্যাপার থাকে। এরপর যখন পুরস্কারের
ব্যপারটা আসে তখন দেখা যায় বিভিন্ন পুরস্কারের সাথে “মহামূল্যবান বই” এবং “পরিবেশ
বান্ধব গাছ” দেয়া হয়।
আজকে
ইত্যাদির কাছে আমাদের চিঠি লেখার উদ্দেশ্য এই “পরিবেশ বান্ধব গাছ” নিয়েই। পরিবেশ সচেতন
অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা সাংগঠনিক ভাবে গাছ লাগাচ্ছেন। কিন্তু এই গাছ গুলি
আসলে সবই পরিবেশ বান্ধব হয় না।
আমরা
পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর(যেমনঃ আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস) কোন গাছ দেই না। আমাদের
প্রথম পছন্দ ঔষধি গাছ, তারপর ফলদ, এরপর বনজ। আর এই গাছগুলি আমরা দেই স্কুলের
বাচ্চাদের(৩য় থেকে ৮ম/৯ম শ্রেণী)। তারা সবাই ১ টা করে গাছের মালিক। ঐটার দেখাশোনা
করা, যত্ন নেয়ার দায়িত্ব তাদের – এটা জানার পর খুব খুশি হয়ে, আগ্রহ নিয়ে তারা
গাছের চারাগুলি নেয়। আমরা গত তিন বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি স্কুলের বাচ্চাদের গাছ
উপহার দিলে সেই গাছের টিকে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আমাদের
দেশে প্রতিটা শ্রেণীতে গড়ে কমবেশি ২০-২২ লক্ষ বাচ্চা পড়াশোনা করে। সে হিসেবে ৩য় থেকে ৮ম শ্রেণীর বাচ্চাদের দিয়ে একসাথে ১ কোটি গাছ লাগানো সম্ভব।
আর এটা প্রতি বছরই জাতীয় শিশু দিবসে (বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন) করা যায়। আমরা গাছ সংগ্রহ
করি মূলত বন বিভাগ থেকে, যার মূল্য মাত্র ৫ টাকা, যাতায়াত সহ আমাদের গাছ প্রতি খরচ
হয় ৮ টাকা। অর্থাৎ সরকার চাইলে ৮ কোটি টাকা খরচ করেই ১ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিতে
পারেন।
ইত্যাদির
মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয় এর কাছে
আবেদন জানাচ্ছি বাচ্চাদের মাধ্যমে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় কিনা বিবেচনা করে
দেখার জন্য।
No comments:
Post a Comment